কোন এক কালে প্রভাবশালি এক বাদশাহ ছিলেন। তিনি যখন অনুধাবন করতে পারলেন তার মৃত্যুর সময় নিকটবর্তি হয়ে গেছে তখন তার প্রধান উজিরকে ডেকে পাঠালেন।
উজিরকে উদ্দেশ্য করে বললেন- আমি তোমাকে তিনটি উপদেশ করে যাচ্ছি। আমার মৃত্যুর পর তুমি তা পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করবে।
উজির সম্মানসূচক জিজ্ঞাসার দৃষ্টিতে তাকলে বাদশাহ বললেন –
উপদেশগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনো –
আমি যখন মারা যাব তখন আমার মরদেহের পালকিটা যেন ওইসব বিজ্ঞ আর বড় বড় ডাক্তার বয়ে নিয়ে যায়, যারা আমার জীবদ্দশায় দেশ সেরা ছিল। আর আমার চিকিৎসা করেছিল।
আমার মৃত্যুর পর আমার বাড়ি থেকে কবরস্থান পর্যন্ত পুরো রাস্তায় যেন আমার সব সোনা রোপা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। যেগুলো আমি জিবদ্দশায় সংরক্ষিত করে রেখেছিলাম।
আমার মৃত্যুর পর আমার দুইহাত যেন আমার কাফনের বাইরে বিছিয়ে রাখা হয়।
উজির অবাকদৃষ্টিতে বাদশাহকে জিজ্ঞাসা করলেন – বদশাহ মহোদয়, উপদেশগুলো আমি যথাযথভাবে পালন করব ইনশাআল্লাহ। তবে এর পেছনে রহস্যটা কী? তা জানতে আগ্রহ হচ্ছে।
বাদশাহ বললেন –
১. মানুষ যাতে একথা বুঝে যে, মৃত্যু থেকে কেউ রেহাই পাবে না। এমনকি বড় বড় ডাক্তার; যাদের উপর আমরা আস্থা করি তাদেরও আমাদের বাঁচানোর ক্ষমতা নেই।
২. মানুষ যেন একথা বুঝতে পারে যে, সারা জীবনে সে যে সম্পদ কামাই করেছে সেসবও তাকে বাঁচাতে পারবে না। সবকিছুই এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে।
৩. মানুষ যেন একথা বুঝতে পারে যে, যেভাবে খালি হাতে দুনিয়াতে এসেছিল সেভাবেই খালি হাতে ওপারে যেতে হবে।
ধনসম্পদ আপনজান কেউই তার সাথে ওপারে যাবে না। যাবে শুধু আমলনামা, যা সে কামাই করেছে।
