মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা কী ?

মাশরুমে পেনিসিলিন নামক অ্যান্টিবায়োটিক থাকে যা মানুষের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। এটি খেতে খুবই মজা। তবে শুধু অর্গানিক বা জৈব ভাবে উৎপন্ন মাশরুম খাওয়ার উপযুক্ত।প্রাচীন রোমানরা মাশরুমকে “ফুড ফর দি গড” মনে করতো। চীন, রাশিয়া ও মেক্সিকোর মানুষের প্রচলিত ধারণা হচ্ছে মাশরুম অতিমানবীয় শক্তি প্রদান করতে সক্ষম।
মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা -
মাশরুমে উচ্চমাত্রার আঁশ থাকে, সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ডের কাজে সহায়তা করে।
মাশরুমের ফাইবার বা আঁশ পাকস্থলি দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে। মাশরুম রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।
মাশরুম নামের ছত্রাকে নিয়াসিন ও রিবোফ্লাবিন থাকে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারি।
মাশরুমে পলিফেনল ও সেলেনিয়াম নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।এই অত্যাবশ্যকীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো মারাত্মক কিছু রোগ যেমন- স্ট্রোক, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ এবং ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
মাশরুম মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মাশরুম দৈনন্দিন কিছু অসুখ যেমন- কফ ও ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে।
সূর্যের আলোর সংস্পর্শে যে মাশরুম উৎপন্ন হয় তাতে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে যা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
নিয়মিত মাশরুম ভক্ষণ ব্রেস্ট ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার কমায়। মাশরুমের ফাইটোকেমিক্যাল টিউমারের বৃদ্ধিতে বাঁধার সৃষ্টি করে।
মাশরুম গ্রহণ করলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। মাশরুমে এনজাইম ও প্রাকৃতিক ইনসুলিন থাকে যা চিনিকে ভাঙ্গতে পারে।
মাশরুমের ফাইবার ও এনজাইম হজমে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোলন এর পুষ্টি উপাদান শোষণকেও বাড়তে সাহায্য করে।
মাশরুমের কার্যকর উপকার পাওয়ার জন্য মাশরুমের গুড়া ব্যবহার করতে পারেন।

Post a Comment

Use Comment Box ! Write your thinking about this post and share with audience.

Previous Next

نموذج الاتصال