কিভাবে বুঝবেন আপনার ডায়াবেটিস আছে কি নাই ? Symptoms of diabetes
ডায়াবেটিসের উপসর্গ চেনা ও ধারনা থাকা খুব অপরিহার্য I প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরলে, যেকোনো ধরনের গুরুতর জটিল অব্স্থা প্রতিহ্ত করা যেতে পারে I দ্বিতীয় প্রকার ডায়াবেটিস ধীরে ধীরে বিকশিত হতে থাকে সাধারণত মাস বা এমনকি বছর ধরে I এটি প্রাক ডায়াবেটিস থেকে হতেও পারে I উপসর্গ গুলি খুব ধীরে ধীরে দেখা যেতে পারে, যা চিহ্নিত করনে বেশী সমস্যা সৃষ্টি করে I দ্বিতীয় প্রকার ডায়াবেটিস মানুষ-র প্রায়ই প্রথমে কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না I এমন কি তাদের বহু বছর ধরে উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে
ডায়াবেটিস এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল :
· যে কোনো ক্ষতের দীর্ঘ সময় ধরে নিরাময় বা ঘন ঘন সংক্রমণ I দ্বিতীয় প্রকার ডায়াবেটিস আরোগ্য এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য আপনার ক্ষমতা প্রভাবিত করতে পারে I
· আপনার শরীরের কোষগুলি শর্করা থেকে বঞ্চিত গুলি হলে আপনি ক্লান্ত এবং খিটখিটে হতে পারেন I
· অপর্যাপ্ত পরিমানে ইনসুলিন আপনার কোষগুলিতে গ্লুকোজ পরিবহন ব্যহত হয় যা আপনার পেশী এবং অন্যন্ন অঙ্গগুলি নিত্বেজ হয়ে পরে I ফলে খুব দ্রুত খিদে বৃদ্ধি পায় I
· শরীরের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত শর্করা উপস্থিতি কোষের স্থিত রক্তরস শুশে নেয়, যা আপনাকে তৃষ্ণার্ত করে তুলবে I ফলত, আপনি অস্বাভাবিক ভাবে জল পান করবেন এবং মুত্র ত্যাগ করবেন I
প্রথম লক্ষণগুলি হল
* রক্তে শর্করার পরিমান মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে, চোখের লেন্সের ফ্লুইড শুকিয়ে যাবে এবং ফলত তা দৃষ্টিশক্তির উপরে প্রভাব ফেলতে পারে I
* যারা সাধারণত দ্বিতীয় প্রকার ডায়াবেটিস আক্রান্ত তাদের বগলের ও ঘাড় এবং শরীরের নরম সংযোগস্থলে গুলিতে কালো কালো ছোপ যাকে আমরা দেখতে পাওয় যায় I এই অবস্থাকে, অ্যাকান্থসিস নিগ্রীকানস(Acanthosis Nigricans ) বলা হয় যা ইনসুলিন প্রতিরোধের একটি লক্ষণ হতে পারে I
* ওজন কমে যাওয়া I অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসের ফলে ওজন কমে যেতে পারে I গ্লুকোজ পরিপাক না হলে শরীর পেশী এবং চর্বি সঞ্চিত বিকল্প শক্তি ব্যবহার করে I ক্যালরি হিসাবে বাড়তি গ্লুকোজ প্রস্রাবের মধ্যে বেরিয়ে যায় I
উপরে উপসর্গ ছাড়াও, দ্বিতীয় প্রকার ডায়াবেটিস উপসর্গ শুকনো মুখ এবং পা ব্যথাও হতে পারে I
এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, তাদের অবস্থার সচেতন ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে সঙ্গে দ্বিতীয় প্রকার ডায়াবেটিস বেঁচে থাকে I এই সব ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত ডাক্তার পরিক্ষার মাধ্যমে ধরা পরবে I
সুত্র : Times of India
Read More about Diabetes -
শরীরে রক্তে চিনির পরিমান অতিরিক্ত বেড়ে গেলে আমরা এটাকে ডায়বেটিস বলি।প্রধানত দুই ধরনের ডায়বেটিস হয়। টাইপ ১ ও টাইপ ২। আমরা টাইপ ২ ডায়বেটিস নিয়ে কথা বলবো কারন এটি বেশি হয়।
কাদের বেশি হয় ?
পরিবারে কারো ডায়বেটিস থাকলে (যেমন বাবা, ভাই বা বোন)
অতিরিক্ত ওজন
স্থুল শরীর
আপনার বয়স ২৫ এর বেশি হলে
লক্ষনসমূহঃ
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব করা, বিশেষত রাতে
সারাক্ষণ পানির পিপাসা লাগা
খুব ক্লান্ত বোধ করা
কোন কারন ছাড়া ওজন কমা
আপনার লিঙ্গ বা যোনির চারপাশে চুলকানি বা লাল হয়ে যাওয়া
কাটা বা ক্ষত নিরাময়ে বেশি সময় লাগা
চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া
কিভাবে রোগ নির্ণয় হয় ?
আপনার চিকিৎসক আপনার লক্ষণ সমূহের বর্ণনা লক্ষণ সমূহের বর্ণনা শুনে এবং আপনার বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করে আপনাকে প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেন যে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
অতঃপর আপনার কিছু টেস্ট করার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন; আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ দেখার জন্য একাধিক টেস্ট লাগতে পারে। এছাড়াও আপনার লক্ষণগুলো বিবেচনা করে অন্যান্য টেস্ট দেয়া হতে পারে।
আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ দেখার টেস্ট এর রেজাল্ট চলে আসার পর আপনার চিকিৎসক নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবেন আপনার ডায়াবেটিস আছে কি না।
কিভাবে চিকিৎসা করা হয়?
আপনার ডায়াবেটিসের অবস্থা বোঝে চিকিৎসক নির্ধারণ করবেন আপনাকে কিভাবে চিকিৎসা করা যায়। সাধারণত ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিম্নোক্ত ভাবে করা হয় –
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ
নিয়মিত ব্যায়াম
ওজন কমানো
ডায়াবেটিসের মুখে খাওয়ার ওষুধ বা চামড়ার নিচে ইঞ্জেকশন দেয়ার ইনসুলিন থেরাপি
ব্লাড সুগার মনিটরিং
উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলাদা আলাদা করে পড়তে পারেন এখানে।
আপনি কি করবেন ?
ডায়াবেটিস হয়ে গেলে সেটা নিয়ে প্রথমে আতঙ্কিত হবেন না। আপনার রক্তের চিনির পরিমাণ নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখতে পারলে ডায়াবেটিস নিয়েও আপনি সাধারণ জীবন যাপন করতে পারবেন।
আপনার চিকিৎসক আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, ওজন কমানো সহ যে পরামর্শ গুলো দিবেন, সেগুলো মেনে চলতে হবে।
আপনাকে যদি কোন ডায়াবেটিসের মুখে খাওয়ার ওষুধ দেয়া হয়, তাহলে সেটা সময় মতো খেতে হবে।
আপনাকে ইনসুলিন দেয়া হলে, প্রথমেই জেনে নেবেন কিভাবে ইনসুলিন নিতে হয়। এরপর ইনসুলিন নেয়ার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে। আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত অন্য কারো কথা শুনে ডায়াবেটিসের ঔষধ এর কোন পরিবর্তন করা যাবে না।